বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অবসান

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ৪ বছরও শেষ। দেখতে দেখেতে সময়টা কেটে গেল…………………………….।।

14238087_968274426615797_7230428127741719693_n

শুরুটা বেশ মজার ছিল। ১৫ই জানুয়ারি ২০১৩, সকাল সকাল তার ওপর শীতকাল। ঘুম থেকে উঠে ক্লাস এ আস্তে দেরি হল। পরে রুটিন আনুযায়ি ক্লাসরুমে নক করলাম স্যার আসতে বললেন স্যার কিন্তু তার লেকচারের মধ্যেই ছিলেন। ভর্তির সময়ই শুনেছিলাম আমাদের যে স্যার উনি অস্ট্রেলিয়া থেকে পড়াশুনা করেছেন খুবই ভাল শিক্ষক। তো আমি ঢোকার পর এই সদা হাস্যউজ্জল মানুষটি বলছিলেন “আজ তোমাদের ঢুকতে দিচ্ছি প্রথম ক্লাস বলে এর পর আমি ইচ্ছা হলে ঢুকতে দিব ইচ্ছা হলে দিব না। এবং বেশির ভাগ সময়ই আমার ইচ্ছা হবে না তাই সময় মতো ক্লাসে আসবে। আর উপস্থিতি আমি #Randomly যেকোনো ১০ দিন নিব এই দশ দিন আগে বলবো না পুরো সেমিস্টার আস নি সমস্যা নেই ওই দশ দিন আসলে ফুল মার্ক কিন্তু যেহেতু জাননা কোন দশ দিন তাই প্রতিদিনই আসতে হবে।” এই ব্যক্তি টি আর কেউ নয় আমাদের প্রিয় শ্রধ্যেয় আরিফ মজুমদার স্যার, বড় ভাই ,বন্ধু যত যাই বলি ঠিক সম্পর্কটা যেন প্রকাশ করা যাবে না। আমাদের রোল মডেল উনি আমদের ভিত্তি গরে দিয়ে গেছেন। যিনি এক কথায় চলে এসেছিলেন আমার এলাকায় শুধুমাত্র আমাকে মোটিভেট করতে। যখন উনি পি.এইচ.ডি নিতে যান আমাদের তখন কার ৫০০ জনের ডিপার্টমেন্ট যেন অভিভাবক শুন্য হয়ে যায়। স্যারের কাছে আমারা চির কৃতজ্ঞ। এমনকি এই ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ শেখা-লেখাও সম্পূর্ণ তার কৃতিত্ব যা আমরা অর্জন করেছিলাম ১ম সেমিস্টারে।

আর এক জন শিক্ষাগুরু হলেন আলমগী্র স্যার। যিনি ১ম ক্লাসেই ক্যালকুলাস বুঝাতে আমাকে চাল ভাঙ্গার মেশিনে ভেঙ্গেছিলেন। যে ক্যালকুলাস আমি কলেজে দুই বছরে শিখিনাই তা এক সেমিস্টারে শিখিয়ে দিয়েছেন। স্যার এর বাস্তব উদাহরন এর সাহজ্যে পড়ানোর পদ্ধতিটার জন্যই সম্ভব হয়েছে, নয়ত আমাকে যদি চালের কলে না ভাংত তবে আমি ফাংশন ও বুঝতাম না আর ক্যালকুলাস আর ডিফারেন্সিয়েশন এর তফাত ও শেখা হত না।

পরিশেষে আর একজনের কথা না বললেই হয় না, যিনি আমাদের ডিপার্টমেন্টের ক্রিটিকাল সময়ে হাল ধরেন। উনি হলেন নাজনিন মেম। যার সহযোগিতায় এবং অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ ডিপার্টমেন্ট পুনর্জীবন ফিরে পেয়েছে। উনি আসলে একজন ফ্যাকাল্টি নয় একজন মায়ের ভুমিকা পালন করেছেন আমাদের সি এস ই ডিপার্টমেন্টের।

আমাদের কবির ভাই হলেন আর একজন আত্মত্যগী মানুষ যাকে সময়ে অসময়ে পেয়েছি ছায়ার মতন। যেকোনো কাজে “খোকা আমি তো আছি কি লাগবে ,আমি ব্যবস্থা করে দেব।” এবং আশলেই তিনি থাকেন। কবির ভাই কোন ডিপার্টমেন্টের ছিলেন না ছিলেন আমাদের, সকলের। জাফর স্যার, সাফায়েত স্যার তাদের সকলের কাছেই কৃতজ্ঞ।

আসলেই তারা না থাকলে বোধহয় বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটাই ফিকে হয়ে যেত।

আর আসলেই আমাদের ডিপার্টমেন্ট গর্ব করার মতো কিছু জুনিয়র ভাই বোন পেয়েছে যারা এক একটা রত্ন। তদের নাম উল্লেখ করব না কারন ভুলে হয়তোবা কার নাম লিখব না এতে তদের ছোট করা হবে। কিন্ত তরা যদি না থাকতি তবে হয়ত আমাদের শুরু করা ডিপার্টমেন্টাই থাকতো না।

ধন্যবাদ সেই লোকদের যারা কখনই কোনদিন সামনে আসে না। কিন্তু তাদের সহযোগিতাই আমরা প্রতিনিয়ত আমরা সবার আগে পেয়েছি। গেটের দারোয়ান মামা থেকে শুরু করে প্রত্যেক মামাদের জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a comment